ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রী, শিক্ষক এবং বিশিষ্ট ভাষা সৈনিক ড. হালিমা খাতুনের মৃত্যুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
৩রা জুলাই ২০১৮ এক শোকবাণীতে উপাচার্য বলেন, ড. হালিমা খাতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের শুধু একজন নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষকই ছিলেন না, তিনি ছিলেন একজন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও কথাসাহিত্যিক। বাংলা মাতৃভাষা আন্দোলনের সংগ্রামে সক্রিয়ভাবে তিনি অংশগ্রহণ করেন। ১৯৫২ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারি ঢাকা মেডিকেল কলেজ চত্বরের আমতলায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে ছাত্রীদের সংগঠিত করার ক্ষেত্রে তিনি বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রেই শুধু নয়, শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠ্য-পুস্তক রচনা করে মাতৃভাষায় শিক্ষা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তিনি। বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার অগ্রগতি এবং সাংস্কৃতিক বিকাশে তাঁর অদানের জন্য তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারসহ সমগ্র দেশবাসীর কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
উপাচার্য মরহুমার রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং তাঁর পরিবারের শোক-সন্তপ্ত সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
হালিমা খাতুন ১৯৩৩ সালের ২৫ শে আগস্ট বাগেরহাট জেলার বাদেকাড়াপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাদেকাড়াপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়, মনমোহিনী গার্লস স্কুল, বাগেরহাট প্রফুল্ল চন্দ্র কলেজে পাঠ শেষে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজীতে এমএ এবং পরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় এমএ পাস করেন। ১৯৬৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব নর্দান কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা বিষয়ে পিএইচ ডি ডিগ্রি অর্জন করেন।
হালিমা খাতুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শুধু নয়, পাড়ায় পাড়ায় মহিলাদের সংগঠিত করে ভাষা আন্দোলনে তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য কাজ করেছেন। বিশেষত ভাষা আন্দোলনের দিনগুলোতে এসব কাজ করে তিনি আন্দোলনকে এগিয়ে নেয়ার পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। ভাষা আন্দোলনে সেই অনন্য অবদানের জন্য তিনি শিল্পকলা একাডেমি থেকে ‘ভাষা সৈনিক’ সম্মাননা লাভ করেন। হালিমা খাতুনের একমাত্র মেয়ে দেশের অন্যতম আবৃত্তিশিল্পী প্রজ্ঞা লাবণী।
১৯৫৩ সালে খুলনা করোনেশন স্কুল এবং আরকে গার্লস কলেজে শিক্ষকতার মধ্যদিয়ে হালিমা খাতুনের কর্মজীবনের শুরু। কিছুদিন রাজশাহী গার্লস কলেজে শিক্ষকতার পর যোগ দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে। এখান থেকে অধ্যাপক হিসেবে ১৯৯৭ সালে অবসর গ্রহণ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, ভাষাসৈনিক হালিমা খাতুন ৩ জুলাই ২০১৮ দুপুরে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর।
---------------
পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত)
জনসংযোগ দফতর
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
UK team meets DU VC19/02/2019 Read more... |
10 DU students get NEF of Japan scholarship19/02/2019 Read more... |
চারুকলা অনুষদে ‘অবিন্তা আর্কাইভ ওয়েবসাইট’ ও ‘লাইব্রেরি ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার’ উদ্বোধন19/02/2019 Read more... |
মহান একুশে উপলক্ষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে যাতায়াতের রুট ম্যাপের বিবরণ18/02/2019 Read more... |
মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের ভাবগাম্ভীর্য বজায় রাখার জন্য ঢাবি উপাচার্যের আহ্বান18/02/2019 Read more... |
ঢাবি ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত17/02/2019 Read more... |
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার দেয়ালসমূহে কোন ছবি পোস্টার ও ব্যানার লাগানো যাবে না17/02/2019 Read more... |