জগন্নাথ হলের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
বাংলাদেশের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও মানবিক জাগরণের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িয়ে আছে জগন্নাথ হলের নাম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কমিশনের সুপারিশক্রমে ‘ঢাকা হল’, ‘জগন্নাথ হল’ ও ‘মুসলিম হল’ নামে তিনটি হল নিয়ে ১৯২১ সালের ১ জুলাই যাত্রা শুরু করে। ঢাকা কলেজ ও জগন্নাথ কলেজের জমির উপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে ওঠে বিধায় নবপ্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি হলের নামকরণ হয় ‘জগন্নাথ হল’ ও ‘ঢাকা হল’। মূলত, মানিকগঞ্জের বালিয়াটির জমিদার কিশোরীলাল রায়চৌধুরীর পিতা জগন্নাথ রায়চৌধুরীর নামানুসারে জগন্নাথ কলেজ ও জগন্নাথ হলের নামকরণ করা হয়েছিল। ১৯২১ সালের ০৯ সেপ্টেম্বর ৩১৩ ছাত্র নিয়ে জগন্নাথ হল তার কার্যক্রম শুরু করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালে সাধারণত কলা অনুষদ ও আইন বিভাগের অমুসলমান ছাত্ররা থাকত জগন্নাথ হলে; পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অনুষদ এবং ইনষ্টিটিউটের অমুসলিম ছাত্রদেরকে জগন্নাথ হলে সংযুক্ত করা হয়। জগন্নাথ হলের দীর্ঘ ইতিহাসে বেশ কয়েকজন পণ্ডিত ও শিক্ষাবিদ এই হলের প্রভোস্টের দায়িত্ব পালন করেন। এঁদের মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হলেন ড. নরেশচন্দ্র সেনগুপ্ত, ড. রমেশচন্দ্র মজুমদার, ড. হরিদাস ভট্টাচার্য, অধ্যাপক দেবেন্দ্রনাথ ব্যানার্জী, ড. পৃথ্বীশচন্দ্র চক্রবর্তী, ড. গোবিন্দচন্দ্র দেব এবং ড. জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা। উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সিনিয়র শিক্ষক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটের সাবেক সদস্য অধ্যাপক ড. মিহির লাল সাহা বর্তমানে জগন্নাথ হলের প্রাধ্যক্ষের দায়িত্বে রয়েছেন। প্রায় ২৫০০ ছাত্র জগন্নাথ হলের সঙ্গে সংযুক্ত রয়েছে। |