ভূমিকম্প পরবর্তী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল ও একডেমিক ভবনসহ বিভিন্ন ভবনের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ ও ঝুঁকি পর্যালোচনা বিষয়ক এক জরুরি সভা আজ ২৪ নভেম্বর ২০২৫ রবিবার উপাচার্য কার্যালয় সংলগ্ন সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান সভায় সভাপতিত্ব করেন।
সভায় প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, বুয়েটের অধ্যাপক ড. ইশতিয়াক আহমেদ, প্রক্টর অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ, প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির আহ্বায়ক ড. আব্দুলাহ্-আল-মামুন, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. সিরাজুল ইসলাম, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. ফারুক শাহ, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মুনসী শামস উদ্দিন আহম্মদ, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন অফিসের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক, ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী, হিসাব পরিচালক, এস্টেট ম্যানেজার এবং ডাকসু ও হল সংসদের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় ভূমিকম্প পরবর্তী বিভিন্ন আবাসিক হল ও ভবনের কারিগরি নিরীক্ষণ, মূল্যায়ন ও মনিটরিংয়ের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীকে সভাপতি করে সেন্ট্রাল কো-অর্ডিনেশন কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেন্ট্রাল কো-অর্ডিনেশন কমিটি অধীনে ৪টি সাব-কমিটিও গঠন করা হয়েছে। বুয়েটের বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে গঠিত এসব সাব-কমিটি দ্রুততম সময়ের মধ্যে আবাসিক হল ও ভবনসমূহ পরিদর্শন, কারিগরি নিরীক্ষণ ও মূল্যায়ন কার্যক্রম সমাপ্ত করবে। পরিদর্শন শেষে কারিগরি মূল্যায়ন প্রতিবেদন সকলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। এসংক্রান্ত বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকৌশল দপ্তর ও সংশ্লিষ্ট হলে সংরক্ষিত থাকবে। কারিগরি মূল্যায়নে ভবনের ঝুঁকিপূর্ণ বিষয় চিহ্নিত হলে শিক্ষার্থীদের অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষকে সভাপতি করে গঠিত সেন্ট্রাল কো-অর্ডিনেশন কমিটির সদস্যগণ হলেন প্রক্টর অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ, সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আব্দুলাহ্-আল-মামুন, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. ফারুক শাহ , পরিকল্পনা ও উন্নয়ন অফিসের পরিচালক, প্রধান প্রকৌশলী, হিসাব পরিচালক এবং ডাকসু’র ভিপি/তাঁর প্রতিনিধি। বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্ত্বাবধায়ক প্রকোশলী মিরাজুল হুদা কমিটির সদস্য-সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
সেন্ট্রাল কো-অর্ডিনেশন কমিটির অধীনে ৪টি সাব-কমিটি হলো- (কমিটি-১) : বুয়েট পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. ইশতিয়াক আহমেদ, সংশ্লিষ্ট হল প্রভোস্ট, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (সংশ্লিষ্ট সার্কেল), তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী/ নির্বাহী প্রকৌশলী (সংশ্লিষ্ট জোন), ডাকসু’র কমনরুম এবং রিডিং রুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক উম্মে সালমা। সংশ্লিষ্ট হল সংসদের সহ-সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পর্যবেক্ষক হিসেবে থাকবেন।
কমিটি -২ : বুয়েট পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. ইশতিয়াক আহমেদ, সংশ্লিষ্ট হল প্রভোস্ট, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (সংশ্লিষ্ট সার্কেল), তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী/ নির্বাহী প্রকৌশলী (সংশ্লিষ্ট জোন) এবং ডাকসু’র বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ইকবাল হায়দার। সংশ্লিষ্ট হল সংসদের সহ-সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পর্যবেক্ষক হিসেবে থাকবেন।
কমিটি -৩ : বুয়েট পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. রাকিব আহসান, সংশ্লিষ্ট হল প্রভোস্ট, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (সংশ্লিষ্ট সার্কেল), তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী/ নির্বাহী প্রকৌশলী (সংশ্লিষ্ট জোন) এবং ডাকসু’র ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম। সংশ্লিষ্ট হল সংসদের সহ-সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পর্যবেক্ষক হিসেবে থাকবেন।
কমিটি -৪ : বুয়েট পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম, সংশ্লিষ্ট হল প্রভোস্ট, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (সংশ্লিষ্ট সার্কেল), তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী/ নির্বাহী প্রকৌশলী (সংশ্লিষ্ট জোন) এবং ডাকসু’র কার্য নির্বাহী সদস্য মিফতাহুল মারুফ। সংশ্লিষ্ট হল সংসদের সহ-সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পর্যবেক্ষক হিসেবে থাকবেন। এসব সাব-কমিটির মধ্যে বিভিন্ন হল পরিদর্শন ও মূল্যায়নের দায়িত্ব বণ্টন করা হবে।
উল্লেখ্য, ভূমিকম্প পরবর্তী পরিস্থিতি নিরীক্ষণ ও মূল্যায়নের জন্য বুয়েটের একজন বিশেষজ্ঞ সদস্যের সমন্বয়ে প্রকৌশলদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল পরিদর্শন অব্যাহত রয়েছে। প্রকৌশলদলটি ইতোমধ্যেই শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল, রোকেয়া হল, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল, সূর্যসেন হল, শামসুন নাহার হল এবং বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হল পরিদর্শন করেছে । পর্যায়ক্রমে অন্যান্য হল ও একাডেমিক ভবন পরিদর্শন করা হবে। পরিদর্শন শেষে মূল্যায়ন প্রতিবেদন শিগগিরই প্রকাশ করা হবে।

২৪/১১/২০২৫
(মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম)
পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত)
জনসংযোগ দফতর
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।