ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ও বায়োটেকনোলজি বিভাগ এবং ক্যান্সার কেয়ার অ্যান্ড রিসার্চ ট্রাস্ট বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে ÔMolecular Insights, Therapeutics Advances & Policy Innovation in Cancer CareÕ শীর্ষক দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন মিলনায়তনে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলনের উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. এনামুল হক, বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটি হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. এম এ হাই, জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. জাহাঙ্গীর কবির, ইউনেস্কোর বাংলাদেশ প্রতিনিধি সুসান ভাইজ। মূল বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বখ্যাত জেনেটিসিস্ট অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক স্যার ওয়াল্টার বোডমার।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ বলেন, ক্যান্সার শুধু একটি রোগ নয়; এটি এমন এক দীর্ঘ যাত্রা যা রোগী, পরিবার ও সমাজকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে।
তিনি বলেন, বিশ্বের অন্যতম বড় স্বাস্থ্য চ্যালেঞ্জ হিসেবে ক্যান্সার প্রতিরোধ ও চিকিৎসায় ইতোমধ্যেই যুগান্তকারী অগ্রগতি হয়েছে। ক্যান্সার চিকিৎসায় প্রচলিত ‘একই পদ্ধতি সবার জন্য’ (one size fits all) ধারণার অবসান ঘটেছে। এর পরিবর্তে এখন ব্যবহার হচ্ছে প্রিসিশন মেডিসিন, যা রোগীর টিউমারের জৈবিক বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে ব্যক্তিকেন্দ্রিক চিকিৎসা নির্ধারণ করে।
ড. মামুন আহমেদ আরও বলেন, আণবিক জীববিজ্ঞান, জেনেটিক্স, বায়োটেকনোলজি ও বায়োইনফরমেটিক্সে সাম্প্রতিক অগ্রগতি ক্যান্সার নির্ণয় ও চিকিৎসায় এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। তবে উন্নত এসব পরীক্ষা ও চিকিৎসা ব্যয়বহুল হওয়ায় সীমিত আয়ের মানুষ প্রায়ই এর সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তাই প্রযুক্তিগত অগ্রগতি ও ব্যয়ভার-এই দুইয়ের মধ্যে ভারসাম্য আনা জরুরি।
তিনি বলেন, ৩০-৫০ শতাংশ ক্যান্সার প্রতিরোধযোগ্য বলে গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা, টিকা গ্রহণ, ধূমপান ও মদ্যপান থেকে বিরত থাকা এবং শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকার মাধ্যমে ক্যান্সারের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো সম্ভব।
২৫/০৯/২০২৫
ফররুখ মাহমুদ
উপ পরিচালক
জনসংযোগ দফতর
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।