আজ সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, দুপুর ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি বিভাগ ও বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের যৌথ উদ্যোগে “লিঙ্গবৈষম্যই নারী-পুরুষের সমতার অন্তরায়” শীর্ষক পাঠচক্র অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে বিভাগের চেয়ারপারসনসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ এবং বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের প্রশিক্ষণ, গবেষণা ও পাঠাগার উপপরিষদের প্রতিনিধিবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
সূচনালগ্নে উপপরিষদের সম্পাদক রীনা আহমেদ লিঙ্গবৈষম্যের প্রকৃতি তুলে ধরে সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে এর বিদ্যমান রূপ নিয়ে আলোচনা করেন। পাঠচক্র ও মতবিনিময় সভা পরিচালনা করেন উপপরিষদের পক্ষ থেকে শাহজাদী সায়মা। পাঠচক্রে বিভাগের বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থীরা লিঙ্গবৈষম্যের নানা দিক তুলে ধরে এসব সমস্যার দ্রুত সমাধানের আহ্বান জানান। আলোচনায় নারীদের পাশাপাশি পুরুষ ও অন্যান্য লিঙ্গপরিচয়ের ব্যক্তিরাও বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন -- এই বিষয়টি বিশেষভাবে গুরুত্ব পায়। পাশাপাশি নারী সংস্কার কমিশনের কার্যক্রম, নারীদের কর্মঘণ্টা নির্ধারণ, পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে লিঙ্গবৈষম্যের বিভিন্ন দিকও আলোচিত হয়।
অংশগ্রহণকারী শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অ্যাক্টিভিস্টরা সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় নারীর প্রতি অবহেলার বিষয়টি বিশেষভাবে তুলে ধরেন। মতবিনিময় পর্বের পর বিভাগের প্রভাষক ফাহিন রহমান অংকিতা ও মাইশা তাবাসসুম অনিমা বক্তব্য রাখেন। তাঁরা বিভিন্ন লিঙ্গের প্রতি বিদ্যমান বৈষম্য, পরিবার পর্যায়ে প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ, সম্ভাব্য সমাধান এবং ইন্টারসেকশনাল দৃষ্টিভঙ্গির গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন।
সমাপনী বক্তব্যে বিভাগের চেয়ারপারসন ও সহযোগী অধ্যাপক শাহারিয়া আফরিন পারিবারিক, প্রাতিষ্ঠানিক ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে লিঙ্গবৈষম্যের চিত্র তুলে ধরে সমাজবিজ্ঞান ও অপরাধবিজ্ঞানের বিভিন্ন তত্ত্বের আলোকে তা বিশ্লেষণ করেন। তিনি এবং অন্যান্য আলোচকবৃন্দ সবাইকে প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবর্তে পারস্পরিক সহযোগিতা ও শ্রদ্ধার মনোভাব গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
সবশেষে বিভাগের চেয়ারপার্সন ক্রিমিনোলজি বিভাগ ও বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের মধ্যে ভবিষ্যৎ সহযোগিতার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। মহিলা পরিষদের পক্ষ থেকে সম্পাদক রীনা আহমেদ এ ব্যাপারে তাকে আশ্বস্ত করেন। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের পক্ষ থেকে আফরোজা আরমান অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।