ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম গতিশীল করা, শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ও ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, শিক্ষার্থীদের জীবনমান উন্নয়ন, বিভিন্ন সংকট নিরসন, সহশিক্ষা ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রম জোরদার এবং আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থানকে আরও সম্মানজনক পর্যায়ে উন্নীত করার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন অব্যাহত রয়েছে। প্রশাসন কর্তৃক গৃহীত এ সপ্তাহের বিভিন্ন উদ্যোগের হালনাগাদ তথ্য পরিবেশিত হলো:
১। বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মহান বিজয় দিবস উদ্যাপিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। কর্মসূচির মধ্যে ছিলো: ভোরে উপাচার্য ভবনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, স্মৃতি চিরন্তন চত্বরে জমায়েত এবং উপাচার্যের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুস্পস্তবক অর্পণ।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন), প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা), কোষাধ্যক্ষ, প্রক্টর সহ শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। দিবসটি উপলক্ষ্যে বিভিন্ন আবাসিক হলে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চিত্র প্রদর্শনী/চলচ্চিত্র প্রদর্শনী/ প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। কলা ভবন, কার্জন হল, ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র ও স্মৃতি চিরন্তনসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় আলোকসজ্জা করা হয়।
বাদ আসর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ মসজিদুল জামিয়াসহ বিভিন্ন হল এবং আবাসিক এলাকার মসজিদে শহিদদের রুহের মাগফেরাত কামনা এবং দেশের সমৃদ্ধি ও উন্নতির জন্য দোয়া করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য উপাসনালয়ে শহিদদের আত্মার শান্তির জন্য বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।
এছাড়া, ১৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগ, নৃত্যকলা বিভাগ এবং থিয়েটার এন্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের যৌথ ব্যবস্থাপনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
২। শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষ্যে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে উপাচার্যের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা), কোষাধ্যক্ষ, শহিদ গিয়াস উদ্দিন আহমদের ছোট বোন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক, ডাকসু’র ভিপি সহ বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স এসোসিয়েশন, তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারী সমিতি ও কারিগরি কর্মচারী সমিতির নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। রেজিস্ট্রার অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন।
দিবসটি উপলক্ষ্যে উপাচার্য ভবনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ ভবনসমূহে কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়। উপাচার্যের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণস্থ কবরস্থান, জগন্নাথ হল প্রাঙ্গণস্থ স্মৃতিসৌধ, বিভিন্ন আবাসিক এলাকার স্মৃতিসৌধ এবং মিরপুর ও রায়ের বাজার শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পু®পস্তবক অর্পণ করা হয়। এছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদসহ বিভিন্ন হল মসজিদে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয় এবং বিভিন্ন উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।
৩। চীন সরকারের আর্থিক সহযোগিতায় ২শ’ ৪৪ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের জন্য বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী হল নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শিগগিরই শুরু হচ্ছে। এই প্রকল্পের স্থান নির্ধারণের জন্য চীনের একটি বিশেষজ্ঞ দল জগন্নাথ হল এলাকা পরিদর্শন করে। পরিদর্শনকালে উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, ডাকসুর ভিপি এবং চীনা Feasibility Study-টিমের বিশেষজ্ঞ সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন-এর নেতৃত্বে বিশেষজ্ঞ দলটি উপাচার্যের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হয়।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের জন্য হল নির্মাণে সহযোগিতা করায় চীনের সরকার ও রাষ্ট্রদূতকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী হল নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আমরা গত ১৩/১৪ মাস যাবৎ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। চীন সরকারের আন্তরিক সহযোগিতায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব হচ্ছে। আগামী ২/১ মাসের মধ্যে হল নির্মাণ কাজ শুরু হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। এই ছাত্রী হল ছাড়াও অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় বিশ্ববিদ্যালয়ে আরও বেশকিছু হল নির্মাণ করা হবে। এসব হল নির্মাণ করা হলে শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট নিরসন হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী হল নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ১ হাজার ৫শ’ ছাত্রীর আবাসনের ব্যবস্থা হবে।
চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য গত বছর ছাত্রীদের আবাসিক সংকটের বিষয়টি আমাকে অবহিত করেন। তখন থেকেই আমরা এবিষয়ে কাজ করে যাচ্ছি। বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের আবাসন সুবিধাসহ শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে চীনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
৪। কানাডার টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জাভেদ মোস্তফা এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সুংকিউনকোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. স্যাম ওহ উপাচার্যের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
বৈঠককালে তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং দুটি বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে যৌথ সহযোগিতামূলক শিক্ষা ও গবেষণা কর্মসূচি গ্রহণের সম্ভাব্যতা সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মতবিনিময় করেন। উপাচার্য আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ে ঢাবির অবস্থান উন্নীত করার জন্য বিশ্বের খ্যাতিমান বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সঙ্গে যৌথ সহযোগিতামূলক কর্মসূচি সম্প্রসারণের উপর গুরুত্বারোপ করেন।
এর আগে, অধ্যাপক ড. জাভেদ মোস্তফা ঢাবির আইকিউএসি-এর সম্মেলন কক্ষে “AI and Machine-Learning approaches for Improving Biomedicine and Healthcare” শীর্ষক একটি বিশেষ বক্তৃতা দেন।
এছাড়াও, অধ্যাপক ড. স্যাম ওহ তথ্য বিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগে “Toward Beneficial Al: Strategies for Coexisting with AI” শীর্ষক একটি বিশেষ বক্তৃতা প্রদান করেন।
৫। অস্ট্রেলিয়ার সেন্ট্রাল কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. ওলাভ মুরলিংক উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎকালে তাঁরা বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং শিশু শিক্ষা বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং অস্ট্রেলিয়ার সেন্ট্রাল কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে যৌথ সহযোগিতামূলক শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম চালুসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন। সেন্ট্রাল কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জন্য প্রশিক্ষণ কর্মসূচি এবং কর্মশালা আয়োজনের বিষয়েও বৈঠকে আলোচনা করা হয়।
৬। বৃটিশ কাউন্সিলের ডেপুটি ডিরেক্টর মারিয়া রেহমান প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা)-এর সঙ্গে উপাচার্যের সভাকক্ষে সাক্ষাৎ করেছেন। এসময় ব্রিটিশ কাউন্সিলের শিক্ষা বিভাগের প্রধান তাঁর সঙ্গে ছিলেন।
সাক্ষাৎকালে তাঁরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ব্রিটিশ কাউন্সিলের মধ্যে চলমান শিক্ষা ও গবেষণা সহযোগিতা আরও জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং গবেষক বিনিময় নিয়েও বৈঠকে আলোচনা করা হয়।
প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে যৌথ গবেষণা কার্যক্রম গ্রহণ এবং যৌথভাবে জার্নাল প্রকাশের মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে আন্তর্জাতিকীকরণের জন্য ব্রিটিশ কাউন্সিলের উপ-পরিচালকের সহযোগিতা কামনা করেন। ব্রিটিশ কাউন্সিলের সহযোগিতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জন্য কর্মশালা এবং প্রশিক্ষণ কর্মসূচি আয়োজনের বিষয়েও তাঁরা আলোচনা করেন।
৭। ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে থার্টি-ফাস্ট নাইটসহ বিভিন্ন উৎসবে আতশবাজি, পটকা ও ফানুস ব্যবহারে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং পরিবেশ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টির ক্ষেত্রে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে। পরিবেশ, বন ও জলবায়ূ পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা পরিবেশ অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে উপাচার্যের হাতে সম্মাননা ও ক্রেস্ট তুলে দেন।
সম্মাননাপত্রে বলা হয়, উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের নেতৃত্বে পরিবেশ সংরক্ষণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অনন্য অবদান রেখে চলেছে। আতশবাজি ও ফানুস ব্যবহারের ফলে বায়ুদূষণ, শব্দদূষণ, রাসায়নিক দূষণ এবং অগ্নিকান্ডের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। পাখি ও বন্যপ্রাণীর ওপর এর বিরূপ প্রভাব পড়ে। প্লাস্টিক ও কঠিন বর্জ্য জনস্বাস্থ্য ও জীববৈচিত্র্যের ক্ষতির কারণ। এসব বাস্তবতায় পরিবেশ রক্ষায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগ শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য নয়, বরং সমগ্র দেশের জন্যও নৈতিক ও পরিবেশবান্ধব নেতৃত্বের অনুপম নিদর্শন। উপাচার্যের এই সাহসী ও দূরদর্শী সিদ্ধান্ত দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়বদ্ধতা ও নৈতিক নেতৃত্বের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের নেতৃত্বে ক্যাম্পাসে পরিবেশ বিষয়ক সেমিনার, র্যালি এবং ক্লিনক্যাম্পাস, গ্রীন ক্যাম্পাস, দূষণমুক্ত ক্যাম্পাস ও পাখিবান্ধব ক্যাম্পাস শীর্ষক কর্মসূচিসহ পরিবেশবান্ধব বিভিন্ন কর্মসূচি পরিচালিত হচ্ছে। এসব কর্মসূচির মাধ্যমে পরিবেশ সংরক্ষণের ক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রোল মডেল হিসেবে কাজ করছে।
৮। বাংলাদেশ গ্রন্থাগার সমিতির উদ্যোগে "Reimagining Librarianship: Forging the Future with AI Technologies" শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলন নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে শিক্ষা উপদেষ্টা প্রধান অতিথি এবং উপাচার্য সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
৯। ইতিহাস বিভাগ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের ১৯তম পুনর্মিলনী উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে দিনব্যাপী আয়োজনে ছিল স্মৃতিচারণ, আড্ডা, সম্মাননা প্রদান, সাংস্কৃতিক পরিবেশনা এবং বিভিন্ন প্রীতি-আলাপ। প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা তাদের ক্যাম্পাসজীবনের নানা স্মৃতি তুলে ধরেন এবং একে অপরের সঙ্গে পুনর্মিলনের আনন্দ ভাগ করে নেন।
১০। ২০২৫-২০২৬ শিক্ষাবর্ষে কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ১ম বর্ষ আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভর্তি পরীক্ষায় মোট ২ হাজার ৯৩৪টি আসনের বিপরীতে ১লাখ ৭ হাজার ৭০১জন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। উপাচার্য সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ভবনের পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।
১১। ক) জয়নুল মেলা উপলক্ষে শিল্পকলার ইতিহাস বিভাগে শুরু হয়েছে ১৫ দিনব্যাপী ছাপচিত্র বিষয়ক কর্মশালা। খ) মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে চারুকলা অনুষদের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
১২। ক) সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে পতাকা স্ট্যান্ড নির্মাণ করা হয়েছে। খ) পরিচালক কক্ষে ২টি সুইচ ও ২টি লাইট লাগানো হয়েছে। গ) ক্লাস রুমের কলিং বেল ও ২টি লাইট লাগানো হয়েছে। ঘ) অফিস কক্ষে লাইট লাগানো হয়েছে। ঙ) শ্রেণি কক্ষের ওয়াশরুমে ১টি লাইট লাগানো হয়েছে।
১৩। ক) কবি জসীম উদ্দীন হল ক্যান্টিন সংস্কার করা হয়েছে। ক্যান্টিনের দেয়াল ও সিলিংয়ে নতুন প্লাস্টার স্থাপনের পাশাপাশি কিচেনের চারটি চুলা মেরামত করা হয়েছে। ক্যান্টিনের ভিতরে ও বাইরে রংকরণসহ ফ্লোরে টাইলস স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া, শিক্ষার্থীদের ক্যান্টিন ব্যবহারের সুবিধার্থে ক্যান্টিন ও লন্ড্রির মাঝখানে অবস্থিত দেয়াল অপসারণ করে ক্যান্টিন সম্প্রসারণ করা হয়েছে। খ) হল লন্ড্রি সংস্কার করা হয়েছে। লন্ড্রির দেয়াল ও সিলিং মেরামতের পাশাপাশি কাপড় ধোয়ার জন্য নতুন পানির হাউস নির্মাণ করা হয়েছে। গ) হল প্রাধ্যক্ষের নেতৃত্বে আবাসিক শিক্ষক, হল সংসদ প্রতিনিধি, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ ১৪ ডিসেম্বর শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবসের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। ঘ) মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে কবি জসীম উদ্দীন হলে আলোকসজ্জা করা হয়।
১৪। ক) বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলের আবাসিক ছাত্রীদের জন্য ৫০০টি চেয়ার ও ৪০টি Bunk bed সরবরাহ করা হয়েছে। খ) হলের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। গ) হলে নিয়মিত মশার ওষুধ প্রদান করা হচ্ছে।
১৫। শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের পক্ষ থেকে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবসে মিরপুর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়। মহান বিজয় দিবসে হলের পক্ষ থেকে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
১৬। ক) শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে হল প্রাধ্যক্ষ রোকেয়া হলে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন এবং মিরপুর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে হলের পক্ষে আবাসিক শিক্ষকগণ পুস্পস্তবক অর্পণ করেন। এসময় শিক্ষার্থী, হল সংসদের নেতৃবৃন্দ এবং কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। খ) মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে রোকেয়া হলের প্রাধ্যক্ষ জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন। এসময় হলের আবাসিক শিক্ষক, শিক্ষার্থী, হল সংসদের নেতৃবৃন্দ এবং কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। গ) হলের অপরাজিতা ভবনের ৮৭ নং রুমের খসেপড়া প্লাস্টার মেরামত কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
১৭। ক) শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে শামসুন নাহার হলের প্রাধ্যক্ষ, আবাসিক শিক্ষক, কর্মকর্তা, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীগণ শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন। খ) মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে শামসুন নাহার হলের প্রাধ্যক্ষ, আবাসিক শিক্ষক, কর্মকর্তা, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীগণ সাভার জাতীয় স্মৃতি সৌধে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন।
১৮। সদাচরণ, ক্লাসে নিয়মিত উপস্থিতি ও লেখাপড়ায় সন্তোষজনক অগ্রগতি সাপেক্ষে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে:
ক) মনোবিজ্ঞান বিভাগের বি. এস (সম্মান) শ্রেণির ৮জন শিক্ষার্থীকে অধ্যাপক ড. এস. এইচ. মাহমুদ ট্রাস্ট ফান্ড বৃত্তি প্রদান করা হবে। মাসিক ১,০০০/ টাকা হারে এক বছরের জন্য তাদের এই বৃত্তি প্রদান করা হবে। শিক্ষার্থীরা হলেন: জেরিন ইলহান ইনিকা, ফাবিহা মেহজাবিন, হোমায়রা মেহজাবিন, আতকিয়া আমিরা তাসিন, দেলোয়ার হোসেন, শাহ সুমাইয়া উম্মে, ফারিহা তুল ফারাহ ও আয়েশা আক্তার ফিতুল ।
খ) তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের বি. এস (সম্মান) শ্রেণির ২জন শিক্ষার্থীকে আবদুল আজিজ চৌধুরী বৃত্তি প্রদান করা হবে। মাসিক ৬০০/ টাকা হারে এক বছরের জন্য তাদের এই বৃত্তি প্রদান করা হবে। শিক্ষার্থীরা হলেন: আশিক রায়হান ও নাসির শাহরিয়ার মজুমদার ইফতি।
গ) প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের বি. এস (সম্মান) শ্রেণির ২জন শিক্ষার্থীকে ড. সাইয়াদ নুরুল আলম স্মারক বৃত্তি প্রদান করা হবে। মাসিক ১০০০/ টাকা হারে এক বছরের জন্য তাদের এই বৃত্তি প্রদান করা হবে। শিক্ষার্থীরা হলেন: কানিজ ফাতেমা তানিশা ও ফাতেমা সিদ্দিক রোজা।
১৯। প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের ৫জন শিক্ষার্থীকে ড. মতিউর রহমান স্মারক বৃত্তি প্রদান করা হবে। এর মধ্যে এম.এস. শ্রেণির রিয়া সাহাকে ১৫,০০০/- টাকা এবং বি.এস. (সম্মান) শ্রেণির রুবায়া রেজা রমিজা, মুনতাহা আফরিন, অন্বেষা দাস স্বর্ণা এবং সাবিহা মুনতাহাকে ৫,০০০/ টাকা হারে বৃত্তি প্রদান করা হবে।
২০। ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি এ্যাসুরেন্স সেল (আইকিউএসি) সম্প্রতি একটি অফিসিয়াল ফেইসবুক পেজ চালু করেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর গবেষণা ও একাডেমিক উৎকর্ষকে আরও দৃশ্যমান করার জন্য বিভিন্ন বিভাগ, ইনস্টিটিউট ও গবেষণা কেন্দ্রসমূহে সম্পাদিত গুরুত্বপূর্ণ একাডেমিক ও গবেষণার অর্জনসমূহ ফেইসবুক পেজে তুলে ধরা হবে। ফেইসবুক লিংক: https:www.facebook.com/share/1KNjkYDYg।
সকল বিভাগ, ইনস্টিটিউট এবং গবেষণা কেন্দ্রের উল্লেখযোগ্য একাডেমিক বা গবেষণা অর্জন যেমন- গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশ, জাতীয়/আন্তর্জাতিক পুরষ্কার, গবেষণা অনুদান, আবিষ্কার/উদ্ভাবন, সেমিনার, ওয়ার্কশপ, কনফারেন্স বা অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি এ্যাসুরেন্স সেল (আইকিউএসি)-এ প্রেরণের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট তথ্য পাঠানোর ইমেইল: iqac@du.ac.bd)
১৭/১২/২০২৫
(মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম)
পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত)
জনসংযোগ দফতর
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়