ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম গতিশীল করা, শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ও ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, শিক্ষার্থীদের জীবনমান উন্নয়ন, বিভিন্ন সংকট নিরসন, সহশিক্ষা ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রম জোরদার এবং আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থানকে আরও সম্মানজনক পর্যায়ে উন্নীত করার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন অব্যাহত রয়েছে। প্রশাসন কর্তৃক গৃহীত এ সপ্তাহের বিভিন্ন উদ্যোগের হালনাগাদ তথ্য পরিবেশিত হলো:
১। ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান: আন্তঃহল মুক্ত গদ্য রচনা প্রতিযোগিতা’-এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিযোগিতায় হলভিত্তিক মোট ৩৭ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। পরে সেখান থেকে ছাত্র ও ছাত্রী দুই ক্যাটাগরিতে মোট ৬জন বিজয়ীকে পুরস্কৃত করা হয়। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী সকলকে সনদ দেয়া হয়।
উপাচার্যের সভাপতিত্বে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান।
রচনা প্রতিযোগিতায় ছাত্রী ক্যাটাগরিতে প্রথম হয়েছেন সংস্কৃত বিভাগের ২য় বর্ষের সোনিয়া পারভীন (শামসুন নাহার হল), দ্বিতীয় হয়েছেন ইতিহাস বিভাগের ২য় বর্ষের অঙ্গনা রাণী পাল ঊর্মি (শামসুন নাহার হল), তৃতীয় হয়েছেন উইমেন এন্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের আয়েশা আখতার (শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল)।
ছাত্র ক্যাটাগরিতে প্রথম হয়েছেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ৪র্থ বর্ষের মাহমুদ-উল-হক (বিজয় একাত্তর হল), দ্বিতীয় হয়েছেন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের মো. মাহমুদুল হাসান মাসুম (শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল), তৃতীয় হয়েছেন সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের মো. ছালেহ আহমেদ নাসিম (মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল)।
বিজয়ীদের সার্টিফিকেট, ক্রেস্ট ও আর্থিক পুরস্কার দেয়া হয়। প্রথম বিজয়ীকে ১০ হাজার, দ্বিতীয় জনকে ৭ হাজার এবং তৃতীয়জনকে ৫ হাজার টাকা আর্থিক পুরস্কার দেয়া হয়।
২। ঐতিহাসিক জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে ‘জাগ্রত জুলাই’ শীর্ষক এক জমজমাট কনসার্ট অনুষ্ঠিত হয়। জুলাই যোদ্ধাদের সাহসিকতার প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন এবং ঐক্যের বার্তা দিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই কনসার্ট আয়োজন করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কনসার্টের উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
সমবেত কন্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে কনসার্ট শুরু হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ব্যান্ড সোসাইটি, ব্যান্ড দূর্গ, লালন ও ব্ল্যাক এই কনসার্টে পারফর্ম করে। কনসার্ট উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথগুলোতে বহিরাগত প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়। সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খল পরিবেশে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী কনসার্ট উপভোগ করেন।
৩। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আন্তঃবিভাগ বিতর্ক উৎসবে শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগ চ্যাম্পিয়ন এবং ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট (আইবিএ) রানার্স আপ হয়েছে। শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষার্থী জুলকার নাইন ফাইনালের সেরা বিতার্কিক নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া, উৎসবের সেরা বিতার্কিক হয়েছেন আসিফ রহমান (নৃবিজ্ঞান), নাহিন আহমেদ (রোবটিক্স এন্ড মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং) এবং তরিকুল ইসলাম (পদার্থবিজ্ঞান)। উপাচার্য উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে ‘জুলাই অভ্যুত্থান : তারুণ্যের কণ্ঠস্বর’ স্লোগানকে উপজীব্য করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই বিতর্ক উৎসবের আয়োজন করে। গত ১০ জুলাই এই বিতর্ক উৎসব শুরু হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আন্তঃবিভাগ বিতর্ক উৎসব আয়োজন সংক্রান্ত কমিটির আহ্বায়ক প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। মোট ৫৩ টি বিভাগ ও ইনস্টিটিউট এই বিতর্ক উৎসবে অংশগ্রহণ করে। উৎসবের ফাইনাল রাউন্ডসহ মোট ৭৫টি রাউন্ডে এই বিতর্ক উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
৪। ঐতিহাসিক জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মাসব্যাপী সেমিনার সিরিজ-এর অংশ হিসেবে নিম্নলিখিত অনুষদ, বিভাগ ও ইনস্টিটিউট সেমিনার আয়োজন করেছে ঃ
ক) বিজ্ঞান অনুষদের উদ্যোগে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান ২০২৪: জাগরণের এক নতুন অধ্যায়’ শীর্ষক সেমিনার, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের উদ্যোগে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান: অর্থনৈতিক শোষণ ও নৈতিক অবক্ষয়’ শীর্ষক সেমিনার এবং আইন অনুষদের উদ্যোগে ‘মানবাধিকার ও জুলাই গণ-অভ্যুত্থান’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এসব সেমিনারে উপাচার্য প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
খ) ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের উদ্যোগে ‘৩৬ জুলাই: বিপ্লবেই মুক্তি’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
গ) জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগে ‘ফিরে দেখা জুলাইঃ গণ-অভ্যুত্থানের পরিপ্রেক্ষিতে সামাজিক ন্যায়বিচারের ধারণা’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
ঘ) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে “স্মৃতিতে অম্লান জুলাই ২০২৪” শীর্ষক সেমিনার আয়োজন করা হয়।
ঙ) অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগে ‘গণ-অভ্যুত্থানের প্রাপ্তি ও প্রত্যাশা’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভাগের শিক্ষক, অ্যালামনাই ও শিক্ষার্থীবৃন্দ বক্তব্য দেন। এছাড়া, গণ-অভ্যুত্থানে শহীদবৃন্দ ও মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজের বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের রুহের মাগফিরাত কামনা এবং আহতদের সুস্থতা কামনা করে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
চ) মৎস্যবিজ্ঞান বিভাগে “জুলাই গণ-অভ্যুত্থান বিষয়ক আলোচনা ও দোয়া মাহফিল” এর আয়োজন করা হয়।
৫। জীববিজ্ঞান অনুষদভুক্ত বিভিন্ন বিভাগের ৮ জন শিক্ষার্থী ‘আয়েশা-আমিরুল ট্রাস্ট ফান্ড বৃত্তি’ লাভ করেছেন। উপাচার্য প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শিক্ষার্থীদের হাতে বৃত্তির চেক তুলে দেন।
বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেনÑমৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী মো. জাকারিয়া ইসলাম এবং মো. হাবিবুর রহমান, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী জিদনী হোসেন বন্যা, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী আতিয়া সিনহা রশনী, প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী মো. শাহরিয়ার সাদিক, মনোবিজ্ঞান বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী হাবিবা ইসলাম, অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী মায়েদা জান্নাত মিথিলা এবং জিন প্রকৌশল ও জীবপ্রযুক্তি বিভাগের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী আব্দুল মাজেদ বিন সাঈদ।
৬। সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত দুই বিভাগের দু’ জন অসচ্ছল শিক্ষার্থীকে এককালীন ২৫ হাজার টাকা করে মোট ৫০ হাজার টাকা ট্রাস্ট ফান্ড বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠিত ‘মো. মুনিরুল ইসলাম - শামসুন্নাহার বেগম ট্রাস্ট ফান্ড’ থেকে তাদের এই বৃত্তি প্রদান করা হয়। উপাচার্য এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শিক্ষার্থীদের হাতে বৃত্তির চেক তুলে দেন।
বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেন- লোক প্রশাসন বিভাগের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী মো. সুবহান আলী হৃদয় এবং পপুলেশন সায়েন্সেস বিভাগের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী মো. সিহাব প্রধান।
৭। ‘সাইয়েদ আবদুল হাই মেমোরিয়াল ট্রাস্ট ফান্ড’-এর মূলধন বৃদ্ধি করা হয়েছে। মূলধন বৃদ্ধির লক্ষ্যে দর্শন বিভাগের চেয়ারম্যান দাতা পরিবারের পক্ষে ১ লাখ ৪৫ হাজার টাকার একটি চেক উপাচার্যের কাছে হস্তান্তর করেন। এই অনুদানের মাধ্যমে ট্রাস্ট ফান্ডের মূলধন ৩ লাখ টাকায় উন্নীত হলো।
উল্লেখ্য, এই ট্রাস্ট ফান্ডের আয় থেকে প্রতিবছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দর্শন বিভাগের ১ম বর্ষ আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের পরীক্ষায় সর্বোচ্চ সিজিপিএ প্রাপ্ত ০২ জন শিক্ষার্থীকে এককালীন ১২ হাজার টাকা করে বৃত্তি প্রদান করা হবে।
৮। ‘চীনা সেতু’ শীর্ষক ২৪তম চীনা ভাষা দক্ষতা প্রতিযোগিতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চীনা ভাষা ও সংস্কৃতি বিভাগের ৫ জন শিক্ষার্থী ১ম, ২য় ও ৩য় স্থান অর্জন করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের এই প্রতিযোগিতা সম্প্রতি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। উপাচার্য প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন। উপাচার্য কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
উল্লেখ্য, ১ম পুরস্কার অর্জনকারী মোঃ বাপ্পি শেখ চীনে অনুষ্ঠেয় আন্তর্জাতিক পর্যায়ে “চীনা-সেতু” প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবে এবং স্কলারশিপ নিয়ে চীনে অধ্যয়ন করার সুযোগ পাবে।
৯। শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে সংস্কারকৃত মসজিদ ও নবনির্মিত ডিজিটাল সাইকেল গ্যারেজ উদ্বোধন করা হয়েছে। উপাচার্য প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মসজিদ ও গ্যারেজ উদ্বোধন করেন। হলের প্রবেশমুখে এই ডিজিটাল সাইকেল গ্যারেজ স্থাপন করা হয়েছে। ডিজিটাল কার্ড পাঞ্চ করার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা গ্যারেজ ব্যবহার করতে পারবেন। কার্ডধারী শিক্ষার্থী ছাড়া কেউ গ্যারেজ ব্যবহার করতে পারবেন না।
১০। রোকেয়া হলে ক) হলের জাদুঘরে জুলাই কর্নার উদ্বোধন করেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন)। খ) হলে একটি অত্যাধুনিক কম্পিউটার ল্যাব উদ্বোধন করা হয়েছে। কম্পিউটার ল্যাব উদ্বোধন করেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা)। গ) হলের অভ্যন্তরে ছাত্রীদের ব্যবহারের জন্য ৩টি ওয়াশিং মেশিন স্থাপন করা হয়। ঘ) হল ইউনিট বাঁধনের উদ্যোগে হল গেটে রক্ত পরীক্ষা কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
১১। শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য মেডিকম, মেম্বার অফ স্কয়ার গ্রুপ-এর সৌজন্যে স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করা হয়।
১২। কবি সুফিয়া কামাল হলে ক) জুলাই যোদ্ধাদের স্মরণে ‘কবি সুফিয়া কামাল হল স্মারক আবৃত্তি উৎসব’ আয়োজন করা হয়। এছাড়া, জুলাই যোদ্ধাদের স্মরণে হলের বার্ষিক ম্যাগাজিন ‘প্রতিবিম্ব’ এর মোড়ক উন্মোচন, পোস্টার প্রতিযোগিতা এবং অন্ত:হল আবৃত্তি প্রতিযোগিতার ফলাফল ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। খ) শিক্ষার্থীদের প্রতিটি কক্ষে ২টি করে ফ্যান স্থাপন করা হয়েছে। গ) হল অডিটোরিয়ামে স্বয়ংক্রিয় সাউন্ড সিস্টেমের ব্যবস্থা করা হয়।
১৩। বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলে ক) জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষ্যে হলে পোস্টার প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। খ) হলের ছাত্রীদের বিভিন্ন ব্লকের বাথরুম, জানালা মেরামত ও গোসলখানার বিভিন্ন প্রকার সমস্যা সমাধান করা হয়েছে। এছাড়া, ছাত্রীদের আবাসিক ভবনসমূহের পানির লাইন সংস্কার এবং রিজার্ভার ট্যাংকির সংস্কার কাজ চলমান রয়েছে। গ) হলে সীট প্রদানের কাজ চলমান রয়েছে। ঘ) নিয়মিত মশার ওষুধ প্রদান করা হচ্ছে।
১৪। কবি জসীম উদ্দীন হলে ক) বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য হলের পূর্বপাশে একটি স্থায়ী ডাস্টবিন নির্মাণ করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ঝুঁকির বিষয়টি বিবেচনা করে এটি শিক্ষার্থীদের কক্ষ থেকে দূরবর্তী স্থানে নির্মাণ করা হয়েছে এবং ময়লার দুর্গন্ধ প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। খ) বিডিএসসি আয়োজিত আন্তঃহল ফুটবল প্রতিযোগিতায় কবি জসীম উদ্দীন হল ১-০ ব্যবধানে জগন্নাথ হলকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে।
১৫। মৎস্যবিজ্ঞান বিভাগে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে “জুলাই স্মৃতি ইনডোর গেমস ২০২৫” এর আয়োজন করা হয়েছে।
১৬। এনার্জি ইনস্টিটিউটে “Perovskite Solar Cell: Introduction, Mechanism, Technology development on lab-scale” শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারের প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড রিসার্চ ইন সায়েন্সেস-এর গবেষণা সহকারী। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ইনস্টিটিউটের পরিচালক।
১৭। ঐতিহাসিক জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ চারুশিল্পী সংসদের উদ্যোগে চারুকলা অনুষদ থেকে জুলাই আন্দোলনের বিভিন্ন মোটিফ নিয়ে ‘শোক ও বিজয় র্যালি’ শীর্ষক শিল্প শোভাযাত্রা বের করা হয়। চারুকলা অনুষদের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ দেশ বরেণ্য শিল্পীবৃন্দ এবং সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ শোভাযাত্রায় অংশ নেন।.
১৮। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. এম শমসের আলী ৩ আগস্ট ভোর ৩:০০টায় রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর।
অধ্যাপক ড. এম শমসের আলীর মৃত্যুতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
০৭/০৮/২০২৫
(মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম)
পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত)
জনসংযোগ দফতর
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়